শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন
রায়হান উদ্দিন সুমন, বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) থেকে : আগামী ১০ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে জমে উঠেছে ভোটের লড়াই। প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই দুপুর থেকে শুরু হয়ে রাত পর্যন্ত চলছে বিরামহীন প্রচারণা। উপজেলা নির্বাচনে আ’লীগের প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছেন আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। এই দু’জনের মধ্যেই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে আশা করছেন ভোটাররা। আর বিএনপি নির্বাচনে না আসায় ও তাদের দলীয় কোনে প্রার্থী না থাকায় মাঠপর্যায়ের নেতারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অনেক নেতাকর্মীরা ভোট কেন্দ্রে না যাওয়াই সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছেন।
বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বানিয়াচং উপজেলার ১০নং সুবিদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উপজেলা আ’লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক আবুল কাশেম চৌধুরী। অন্যদিকে তৃণমূলের ভোটে এগিয়ে থাকা উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন খান আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এই উপজেলা নির্বাচনে লড়াইটা হবে মূলত আ’লীগ বনাম আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে।
প্রতীক পাওয়ার পর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন আ’লীগের আবুল কাশেম চৌধুরী। দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে করে যাচ্ছেন উঠান বৈঠক ও মোটরসাইকেল শোডাউন। ৬বারের শ্রেষ্ট এই ইউপি চেয়ারম্যান আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে নিজের যোগ্যতার প্রমান দেখাতে চান বলে জানান আবুল কাশেম চৌধুরী।
অন্যদিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন খান নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তার অনুসারীদের নিয়ে। পুরো উপজেলা জুড়ে তার পক্ষে আনারস প্রতীকের রীতিমতো জোয়াড় সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান তিনি। ইকবাল হোসেন খান জানান-তৃণমূলে আমার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। দলীয় প্রার্থী নির্ধারনেও আমি তৃণমূলের সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে প্রথম হয়েছিলাম। কিন্তু কেন্দ্র থেকে আমাকে না দিয়ে অপর প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন দেয়। বানিয়াচংয়ের জনতার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমি নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। জনগণ যেভাবে আমার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন তাতে আমি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবো বলে আশাবাদী। প্রতিদিন বানিয়াচংয়ে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যখন ছুটে বেড়াতে কোনো ক্লান্তিবোধ করছিনা। কারণ সবখানেই জনগণ আমাকে অনুপ্রাণিত করছেন। নির্বাচনের ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার ঠিকমতো প্রয়োগ করলে আমার জয় শতভাগ নিশ্চিত ইনশাআল্লাহ।
অপরদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে না আসার ঘোষণা দেয় বিএনপি। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও অংশ নেয়নি দলটি। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শেখ বশীর আহমেদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তবে দলের নির্দেশনা অমান্য করে মাঠে রয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এডভোকেট মঞ্জুর উদ্দিন শাহিন। তিনি ঘোড়া প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়বেন।